সৌম্য সরকার এবং সাব্বির রহমান, বাংলাদেশের ক্রিকেটের এক সময়ের উঠতি সুপারস্টার। নিজেদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটীয় ক্যারিয়ারের শুরুটা দারুণ হলেও , পরবর্তী সময়ে যেনো পুরো নিজেদের খুজছেন সৌম্য এবং সাব্বির। তাইতো, সৌম্য এবং সাব্বির দেশের ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে এক আক্ষেপের নাম।
সৌম্য সাব্বিরময় সেই দিনগুলি
২০১০ সালে, ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে খুলনা বিভাগের বিপক্ষে ঢাকা বিভাগে অভিষেক ঘটে সৌম্যর। ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের হয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি।
২০১২ সালের বিপিএলের প্রথম আসরে বরিশাল বার্নার্সের হয়ে খেলেছিলেন সৌম্য। এছারাও, ২০১৩ সালে বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। ২০১৪ সালে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে খেলার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে সৌম্যর।
![সৌম্য সাব্বিরময় সেই দিনগুলি 2 1 Cricket Gurukul [ ক্রিকেট গুরুকুল ] GOLN](https://cricketgoln.com/wp-content/uploads/2022/08/1-300x169.webp)
সেদিন, মিরপুরের শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের ৫ম ও শেষ একদিনের আন্তর্জাতিকে ১৮ বলে ৪ বাউন্ডারির সাহায্যে ২০ রান সংগ্রহ করেন সৌম্য। একই ম্যাচে, তার সাথে তাইজুল ইসলামেরও অভিষেক হয়। খেলায় বাংলাদেশ দল ৫ উইকেটে জয় পেয়ে ৫-০ ব্যবধানে জিম্বাবুয়ে দলকে বাংলাওয়াশ করে।
২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে, বাংলাদেশের হয়ে বেশ কিছু দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন সৌম্য যা তকে পরবর্তীতে জাতীয় দলে জায়গা পাকাপোক্ত করতে সাহায্য করে। নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে বেশ ভালো সময় পাড় করেছেন সৌম্য।
২২ এপ্রিল, ২০১৫ তারিখে, পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনি তার প্রথম ওডিআই শতক হাঁকান।মিরপুরের শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত তৃতীয় ওডিআইয়ে ১১০ বল মোকাবেলা করে অপরাজিত ১২৭* রান তোলেন। তার এ ইনিংসটিতে ছয়টি ছক্কা ও ১৩টি চারের মার ছিল।
উদ্বোধনী জুটিতে তামিম ইকবালের (৬৪) সাথে জুটি গড়ে মূল্যবান ১৪৫ রান সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে মুশফিকুর রহিমের (৪৯*) সাথে নিরবিচ্ছিন্নভাবে ৯৭ রান তোলেন। এরফলে তার দল ১০ ওভারেরও বেশি বল বাকী থাকতে ৮ উইকেটের সহজ জয় পায়। এছাড়াও বাংলাদেশ ৩-০ ব্যবধানে পাকিস্তানকে প্রথমবারের মতো বাংলাওয়াশ করে। সেই ম্যাচে, তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।
![সৌম্য সাব্বিরময় সেই দিনগুলি 3 2 Cricket Gurukul [ ক্রিকেট গুরুকুল ] GOLN](https://cricketgoln.com/wp-content/uploads/2022/08/2-300x225.webp)
২৪ এপ্রিল, ২০১৫ তারিখে মিরপুরের শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত একমাত্র টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে মুস্তাফিজুর রহমানের সাথে তারও অভিষেক ঘটে। কিন্তু মাত্র ৩ বল মোকাবেলা করে শূন্য রানে রান আউটের শিকার হন তিনি।
![সৌম্য সাব্বিরময় সেই দিনগুলি 4 sabbir 2 Cricket Gurukul [ ক্রিকেট গুরুকুল ] GOLN](https://cricketgoln.com/wp-content/uploads/2022/08/sabbir-2-300x169.webp)
ঐ খেলায় অবশ্য সাকিব ও সাব্বির রহমানের ক্রীড়ানৈপুণ্যে বাংলাদেশ দল প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটের বিরাট জয় পায়। ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ৪ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে বিসিবি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ দলের ১৫-সদস্যের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে।
![সৌম্য সাব্বিরময় সেই দিনগুলি 5 sabbir Cricket Gurukul [ ক্রিকেট গুরুকুল ] GOLN](https://cricketgoln.com/wp-content/uploads/2022/08/sabbir-300x222.jpg)
এতে তিনিও দলের অন্যতম সদস্য মনোনীত হন। ৯ মার্চ, ২০১৫ তারিখে অ্যাডিলেড ওভালে অনুষ্ঠিত গ্রুপ পর্বের ৫ম খেলায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩য় উইকেটে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে (১০৩) সাথে নিয়ে ৮৬ রানের জুটি গড়েন। খেলায় তিনি ৪০ রান সংগ্রহ করেন।
এরপর মুশফিকুর রহিমের ঝড়োগতিতে ৭৭ বলে ৮৯ রানের সুবাদে একদিনের আন্তর্জাতিকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলগতভাবে সর্বোচ্চ রান তোলে। পরবর্তীতে রুবেল হোসেনের প্রশংসনীয় বোলিংয়ে (৪/৫৩) বাংলাদেশ ১৫ রানের ব্যবধানে জয়ী হওয়াসহ কোয়ার্টার ফাইনালে উন্নীত হয়।
২০১৬ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে নিজের খেলায় অনেকটা খেই হারাতে শুরু করেন সৌম্য। এরপর, অবশ্য বেশ কিছু ম্যাচেই দলকে জয় এনে দেয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ পারফর্মেন্স করলেও ধারাবাহিকতার অভাবে জাতীয় দলের আশা যাওয়ার মধ্যেই ছিলেন তিনি। সর্বশেষ, ২০২১ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাজে পারফ্ররমেন্সের কারণে, দল থেকে বাদ পড়েছেন সৌম্য। এরপর, আর জাতীয় দলে সুযোগ হয়নি সৌম্যর।