টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার পেসার প্যাট কামিন্স এমন এক রেকর্ড গড়েছেন, যা সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেট ইতিহাসে বিরল। তিনি টানা দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করার কীর্তি অর্জন করেছেন এবং বিশ্বকাপের ইতিহাসে পাঁচম বোলারের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেছেন, যারা এই অসাধারণ কীর্তি দেখাতে পেরেছেন।
বিশ্বকাপে টানা দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক কামিন্সের
টানা দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিকের কাহিনি
সুপার এইটের আগের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে কামিন্স প্রথম হ্যাটট্রিক সম্পন্ন করেন। সেই ম্যাচে ১৮তম ওভারের শেষ দুই বলে তিনি আউট করেন মাহমুদউল্লাহ ও মেহেদি হাসানকে। বিশতম ওভারের প্রথম বলে তৌহিদ হৃদয়কে আউট করে পূর্ণ করেন হ্যাটট্রিক।
মাত্র তিন দিন পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিনি একই কীর্তি গড়েন। ১৮তম ওভারের শেষ বলে রশিদ খানের উইকেট, এরপর বিশতম ওভারের প্রথম দুটি বলে যথাক্রমে করিম জানাত ও গুলবদিন নাইমকে আউট করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। এইভাবে টানা দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করার নজির গড়েন কামিন্স।

ইতিহাসে অষ্টম হ্যাটট্রিক
এই হ্যাটট্রিকের মধ্য দিয়ে কামিন্স যোগ দেন লাসিথ মালিঙ্গা, টিম সাউদি, মার্ক পাভলোভিচ, ওয়াসিম আব্বাসের সঙ্গে, যাদেরও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দুটো করে হ্যাটট্রিক রয়েছে। কামিন্সের এই কীর্তি বিশ্বকাপের অষ্টম হ্যাটট্রিক হিসেবেও লেখা হলো।
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করার দিক থেকে তিনি দ্বিতীয় বোলার। তার আগে সাবেক পেসার ব্রেট লি বাংলাদেশের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়ে ইতিহাসে নাম লিখিয়েছিলেন।
চার বলে চার উইকেট – আরেকটি সুযোগ
আজকের ম্যাচে কামিন্সের সম্ভাবনা ছিল আরও বড় কীর্তি গড়ার। তিনি চার বলে চার উইকেট নেওয়ার সুযোগ পান, যার মধ্যে একটি ক্যাচ ধরেছিলেন নানগেইয়ালিয়া। কিন্তু ডেভিড ওয়ার্নার সেই ক্যাচ ধরতে ব্যর্থ হওয়ায় চার বলে চার উইকেটের কীর্তি গড়ে উঠতে পারেনি। এই কীর্তি আগে করেছেন কেবল আয়ারল্যান্ডের কার্টিস ক্যাম্পফের, ২০২১ সালের বিশ্বকাপে।

কামিন্সের অসাধারণ ফর্ম
কামিন্সের এই কীর্তি প্রমাণ করে, কেন তিনি আধুনিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অন্যতম ভয়ঙ্কর পেসার। দ্রুত বোলিং, নির্ভুল Yorkers এবং সুইং ও পেসের মিশ্রণ তাকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বিপক্ষের জন্য এক ভয়ঙ্কর অস্ত্র হিসেবে পরিণত করেছে।
বিশ্বকাপে টানা দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করার কীর্তি শুধু তার পারফরম্যান্স নয়, এটি অস্ট্রেলিয়ার জন্যও বড় আত্মবিশ্বাসের উৎস। এই কীর্তি দলের জন্য বড় ধাক্কা প্রতিহত করতে সহায়ক হবে এবং ভবিষ্যতের ম্যাচে বিপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।