অস্ট্রেলিয়া যখন অ্যাশেজ সিরিজের প্রায় নিশ্চিত বিজয়ের পথে, ঠিক তখন প্যাট কামিন্সের প্রত্যাবর্তন পুরো সিরিজের মানচিত্রই বদলে দিতে পারে। ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড বাড়তি চাপে পড়বে এই শক্তিশালী অধিনায়ক-ফাস্ট বোলারকে সামনে পেয়ে। কামিন্স শুধু পেস আক্রমণের প্রধান নন, তিনি দলের আত্মবিশ্বাসের প্রতীক।
তবে বড় সমস্যা হলো হ্যাজেলউডকে হারানো। এমন সময় হারাল অস্ট্রেলিয়া, যখন তাদের পেস আক্রমণ নতুন করে সাজানোর প্রয়োজন ছিল না। গত কয়েক বছরে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট বোলিংয়ের সবচেয়ে ধারাবাহিক জুটি ছিল কামিন্স–হ্যাজেলউড। এই জুটি ভেঙে গেল অ্যাকিলিস ইনজুরির কারণে। কোচের মতে, এটি “অপ্রত্যাশিত ও হতাশাজনক।”
এখন প্রশ্ন প্রযুক্তিগত—হ্যাজেলউডের বিকল্প কে? স্টার্ক, বোল্যান্ড বা নতুনরা? যাকে-ই নেওয়া হোক, চাপ থাকবে বেশি। কারণ অ্যাডিলেড টেস্টের উইকেট সাধারণত পেসারদের জন্যই সহায়ক হয়।
অন্যদিকে উসমান খাজা এখন চাপে। ৩৯ বছর বয়সে তিনি দলে ফিরলেও ওপেনার হিসেবে নিশ্চয়তা নেই। ট্র্যাভিস হেড–জেক ওয়েদারাল্ড জুটি দুর্দান্ত। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭০ প্লাস জুটি গড়ে দুই টেস্টেই দলকে শক্ত অবস্থানে রেখেছেন তারা। খাজার অভিজ্ঞতা মূল্যবান, কিন্তু তাকে কি মিডল অর্ডারে পাঠানো উচিত?
এখানেই নতুন কৌশলের সুযোগ দেখছে অস্ট্রেলিয়া।
