দীর্ঘ এক দশকের সম্পর্কের পর গামিনি ডি সিলভার বাংলাদেশ অধ্যায় অবসান হলো। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এই শ্রীলঙ্কান পিচ কিউরেটরের সঙ্গে সমস্ত ধরনের চুক্তি বাতিল করেছে। একসময় মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের প্রধান কিউরেটর হিসেবে যিনি দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে পরিচিত ছিলেন, সেই অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটল বিতর্ক এবং সমালোচনার ছায়ায়।
২০১০ সালে বিসিবির সঙ্গে কাজ শুরু করেন গামিনি ডি সিলভা। পনেরো বছরের বেশি সময় ধরে তিনি মিরপুরের পিচের তত্ত্বাবধান করেছেন এবং অসংখ্য আন্তর্জাতিক ম্যাচ ও সিরিজে ভূমিকা রেখেছেন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নানা বিতর্কও বৃদ্ধি পেতে থাকে। বিশেষ করে মিরপুরের ধীরগতি ও স্পিননির্ভর উইকেট নিয়ে বারবার প্রশ্ন ওঠে। সাম্প্রতিক পাকিস্তান সিরিজে মানহীন উইকেটের কারণে সরাসরি সমালোচিত হন তিনি। পাকিস্তান দলের কোচ ও অধিনায়ক সংবাদ সম্মেলনে ওই উইকেট নিয়ে অভিযোগ করলে বিসিবিকে পদক্ষেপ নিতে হয়।
প্রথমে তাকে মিরপুর থেকে সরিয়ে রাজশাহীতে পাঠানো হয়, কিন্তু সেখানে থেকেও বোর্ড সন্তুষ্ট হতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই দুই মাসের নোটিশ দিয়ে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। বিসিবি সূত্র জানিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী তাকে দুই মাসের বেতন দেওয়া হবে এবং ২ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি বাতিলের কাগজপত্র হস্তান্তর করা হবে।
গামিনির বিদায়ের সঙ্গে নতুন অধ্যায় শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের পিচ ব্যবস্থাপনায়। ইতিমধ্যেই টার্ফ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন অস্ট্রেলীয় পিচ বিশেষজ্ঞ টনি হেমিং, যিনি সিলেটে সফলভাবে কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। এখন থেকে হেমিংয়ের অধীনে মিরপুরসহ দেশের প্রধান ভেন্যুগুলোর পিচ তত্ত্বাবধান এবং স্থানীয় কিউরেটরদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
