বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদে নতুন পরিচালক হিসেবে যুক্ত হয়েছেন দেশের সুপরিচিত করপোরেট ব্যক্তিত্ব ও নারী ক্রীড়া সংগঠক রুবাবা দৌলা। তাঁকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) কর্তৃক কাউন্সিলর হিসেবে মনোনীত করে আনুষ্ঠানিকভাবে আজ বিসিবিতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এর মাধ্যমে ২৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বিসিবি পরিচালনা পর্ষদ সম্পূর্ণ রূপ পেয়েছে।
দেশীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থায় এনএসসি মনোনীত দুইজন কাউন্সিলর থাকেন। গত ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের পর এনএসসি দুজনকে মনোনয়ন দিয়েছিল। তাঁদের একজন ইসফাক আহসানকে ঘিরে সেদিনই বিতর্কের সৃষ্টি হয়। আজ এনএসসির চিঠিতে জানানো হয়েছে, ইসফাক আহসান ‘পদত্যাগ করেছেন’।
ব্যবসায়ী ইসফাক আহসানের আওয়ামী লীগের পদে থাকা এবং ২০২৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে সমালোচনা উঠলে এনএসসি তাঁর পরিবর্তে রুবাবা দৌলাকে মনোনয়নের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে তিনি যে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন, সেখানে কিছু আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে সময় লাগায় তাৎক্ষণিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারেননি।
বর্তমানে রুবাবা দৌলা ওরাকল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, একই সঙ্গে তিনি নেপাল ও ভুটানের কার্যক্রমও তদারক করেন। এর আগে তিনি টেলিকম খাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন ও এয়ারটেলের উচ্চপদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
রুবাবা দীর্ঘদিন ধরেই দেশের ক্রীড়া অঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত। ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সভাপতি ছিলেন এবং একই সময়ে বাংলাদেশ স্পেশাল অলিম্পিকসের বোর্ড সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
গ্রামীণফোনে ১৯৯৮ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনি প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা ও প্রধান বিপণন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। সে সময় গ্রামীণফোন ছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান স্পনসর (২০০৩-২০১১)। এছাড়া ২০০৭ সালে বিসিবির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে মিরপুরে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন রুবাবা দৌলা।
আজ বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, যেখানে রুবাবা দৌলা অংশ নিতে পারেন বলে জানা গেছে। এনএসসি মনোনীত অপর কাউন্সিলর হলেন ইয়াসির মোহাম্মদ ফয়সাল আশিক।
