গালফ জায়ান্টস শেষ ম্যাচে সুপার ওভারের হারের পর পুনরায় জয়ের পথে ফিরেছে। শারজাহ ওয়ারিয়ারজকে ১৫৮ রানের লক্ষ্যে তাড়া করতে গিয়ে তারা নিশ্চিত করল যে, হার শুধুমাত্র একটি দুর্ঘটনা ছিল। রাহমানুল্লাহ গুরবাজের ৫০ রানের ঝলক এবং আয়ান খানের চার ওভারে ৩ উইকেট নেওয়ার দারুণ পারফরম্যান্স গালফ জায়ান্টসকে বিজয়ের পথ দেখিয়েছে।
ওয়ারিয়ারজের শুরুটা ছিল আক্রমণাত্মক। জনসন চার্লস প্রথম দুই ওভারে দুটি করে বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন, যা দলের স্কোরবোর্ডে দ্রুত বেড়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিল। তবে মার্ক এডেয়ার প্রথম প্রহরী হিসেবে টম কোহলার-ক্যাডমোরকে আউট করে দলের আশা পুনরুজ্জীবিত করলেন। এরপর কুসাল মেন্ডিস আসে এবং চার ও ছয় হাঁকিয়ে পাওয়ারপ্লে শেষে ওয়ারিয়ারজের স্কোর দাঁড়ায় ৪৮/১।
গালফ জায়ান্টসের কৌশলিক পরিবর্তন আনা হয় অষ্টম ওভারে, যখন আয়ান খান বল হাতে নেন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে কুসালকে আউট করেন এবং পরবর্তী ওভারেই চার্লসকেও বিদায় জানান। ১০ ওভারের শেষে ওয়ারিয়ারজের স্কোর দাঁড়ায় ৬৯/৩, যা স্পষ্টভাবে তাদের আক্রমণকে থামিয়ে দেয়।
লিয়াম ডসন ও আয়ান খানের যুগল জাদু ৭ থেকে ১২তম ওভারে মাত্র ৩১ রান দেওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে। এরপর টিম ডেভিড অল্প কিছু রানের মাধ্যমে দলের গতি ফিরিয়ে আনলেও আয়ান তাকে ডসনের হাতে সহজে উইকেটে পরিণত করেন। ইংলিশ লেফট আর্ম স্পিনার ডসন তার স্পেল শেষ করেন ৪-০-২১-১ আকারে।
ওয়ারিয়ারজের শেষের দিকে ডোয়াইন প্রেটোরিয়াস ১৭ বল থেকে ৩৬ রানের ঝলক দেখান। তার সহায়তায় শেষ ২০ ওভারে দলের স্কোর ১৫৭/৬ পৌঁছায়। এরপর গালফ জায়ান্টসের বিপক্ষে দলের লক্ষ্য তাড়া শুরু হয়।
জানেননি এমন পরিস্থিতিতে ওপেনিং দায়িত্বে ছিলেন জেমস ভিন্স ও গুরবাজ। ভিন্স দ্বিতীয় ওভারে ২১ রান সংগ্রহ করেন এবং গুরবাজও দুইটি ছয় মারেন। পাঁচ ওভারের মধ্যে তাদের জুটি ৫০ রান স্পর্শ করে এবং ওয়ারিয়ারজের উপর চাপ সৃষ্টি করে।
মধ্যবর্তী ওভারগুলোতে রাজার উইকেট ও মাহীশ থীকশানার নিয়ন্ত্রণে গতি থমকে যায়। গুরবাজের ৫০ রানের ইনিংস মেধার পরিচায়ক হলেও শেষ পর্যন্ত সে ডেভিডের হাতে আউট হন। শেষ দিকে ওমারজাই দলের লক্ষ্য পূরণের আশা জাগালেও সোন ডিকসনের জয়ের রানের শটে ম্যাচের অন্ত্য ঘটে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শারজাহ ওয়ারিয়ারজ ১৫৭/৬ (ডোয়াইন প্রেটোরিয়াস ৩৬*, জনসন চার্লস ৩৬; আয়ান খান ৩-১৭, মার্ক এডেয়ার ২-২২) হেরে গালফ জায়ান্টস ১৫৮/৪ (রাহমানুল্লাহ গুরবাজ ৫০, জেমস ভিন্স ৩৫; সিকান্দার রাজা ২-২০, আদিল রাশিদ ১-২১) দ্বারা ৬ উইকেটে।