“একটি মঙ্গলবারে হার্দিকের মহারাজা-শক্তি!”

মঙ্গলবারের সন্ধ্যায় বারাবতী স্টেডিয়ামের মাঠ যেন স্বতন্ত্র রূপ ধারণ করেছিল। ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন, অস্বাভাবিক সিম এবং টেনিস বলের মতো বাউন্সে ভরা পিচে হার্দিক পান্ডিয়া যেন এক নতুন কল্পিত জগতের রাজা হয়ে উঠলেন। মাত্র ৫৯ রান অপ্রতিরোধ্য ইনিংসে, ছয়টি চার এবং চারটি ছয় হাঁকিয়ে ২১০-এর আশ্চর্যজনক স্ট্রাইক রেটে তিনি ভারতের জয়কে ১০১ রানের ব্যবধান পর্যন্ত নিয়ে গেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে।

ভারতের কোচ রবি শাস্ত্রীর মন্তব্য অনুযায়ী, “হার্দিকের ব্যাটিং এতই বিস্ময়কর, যেন নতুন আত্মায় ফিরে এসেছে।” তিনি ইনিংসের মধ্য দিয়ে এমন এক শক্তি প্রদর্শন করলেন যা ভারতের সাদা বলের ক্রিকেটে দুই মাস ধরে অনুপস্থিত ছিল। দলের ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার যাদবও অবাক হয়ে বললেন, “৪৮/৩ থেকে ১৭৫ পর্যন্ত পৌঁছানো—হার্দিকের ব্যাটিং দেখে আমরা সত্যিই অভিভূত।”

পিচ ছিল এতই জটিল যে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা সহজ লক্ষ্য হতে হলো ভারতের বোলারদের জন্য। দুই পেসার এবং স্পিনার মিলিতভাবে মাত্র ১২.৩ ওভারে ৭৪ রানে অল আউট হয়ে গেলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স মন্তব্য করলেন, “হার্দিক শুধু ছয় হাঁকাতে জানে না, বরং পরিস্থিতি অনুযায়ী শান্তভাবে এবং স্পষ্ট পরিকল্পনার সঙ্গে ব্যাট চালায়।”

হার্দিকের ইনিংস কেবল ব্যাটিংতে সীমাবদ্ধ থাকেনি। তিনি ২ ওভারে মিডিয়াম পেস বোলিং করেও ডেভিড মিলারের উইকেট নেন, যা তার অলরাউন্ডার দক্ষতা আরও প্রতিষ্ঠিত করল। তিনি পুনরায় প্রমাণ করলেন যে, বিশ্বের যে কোনো দলের মধ্যে এমন বহুমুখী খেলোয়াড় খুবই কম পাওয়া যায়। ভারতের আগামী বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে এই ফর্মই দলের জন্য আশার আলো।

Leave a Comment