রাজশাহী ক্রিকেট দল খুলনাকে তিন দিনের মধ্যেই পরাজিত করেছে। অন্য তিনটি ম্যাচও আজ ড্র হয়েছে। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মুশফিকুর রহিম তার সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন, পাশাপাশি বরিশালের সালমান হোসেনও সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন।
মুশফিকুর রহিম সিলেটের মাঠে র্যাম্প শটে উইকেটকিপারের মাথার ওপর দিয়ে চার মেরে ১০০ রানে পৌঁছানোর পর তার উত্তেজনা অনেকটা প্রকাশ পেয়েছে। আগের দিন বোলার এনামুল হক কিছু বাউন্সার দিয়ে তাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, এবং মুশফিক তারই জবাব দিলেন। সেঞ্চুরি হওয়ার পর হাতে হাত তুলে উদ্যাপন করে এনামুল হকের দিকে আগুনঝরা দৃষ্টিতে তাকান তিনি।
মুশফিকের সেঞ্চুরি ছিল ১৯তম প্রথম শ্রেণির সেঞ্চুরি এবং আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজের আগে এটি তার জন্য দারুণ প্রস্তুতি হিসেবে কাজ করবে। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ম্যাচের শেষ দিনে, মুশফিক যখন ৯৩ রানে ব্যাট করছিলেন, তখন দলটি ৭ উইকেটে ২৬০ রানে অবস্থান করছিল। শেষ মুহূর্তে কিছু ঝুঁকির মধ্যে মুশফিকের সেঞ্চুরি পূর্ণ হয়, যখন নাবিল সামাদ অপরাজিত থেকে তাকে সহায়তা করেন। পরবর্তীতে মুশফিক ২০৫ বলে ১১৫ রান করে আউট হন, তার ইনিংসে ৮টি চার এবং ২টি ছক্কা ছিল। দলটি শেষে ২৯০ রানে অলআউট হয়ে যায়।
ম্যাচের পরিণতি ছিল ড্র। দ্বিতীয় ইনিংসে ঢাকা ৬৪ ওভারে ২ উইকেটে ২২২ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। সিলেটের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২-১৩ ওভারে ২৪৩ রান। তারা মাত্র ৪ ওভার খেলে ১৩ রান তুলে ড্র মেনে নেয়। ঢাকার ওপেনার জিশান আলম ৯৪ রান করেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তিনি দ্বিতীয়বার ৯০ রানে আউট হলেন—এটি তার ক্যারিয়ারে টানা দুইবার।
কক্সবাজার আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বরিশাল ও চট্টগ্রামের ম্যাচও ড্র হয়েছে। তৃতীয় দিন বরিশালের প্রথম ইনিংস শেষ হয়নি, কারণ মাঠ ছিল ভেজা। তবে আজ তারা ২৫৯ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। দলের হয়ে ১২০ রানে অপরাজিত ছিলেন সালমান হোসেন, এটি তার দ্বিতীয় প্রথম শ্রেণির সেঞ্চুরি।
বরিশাল তার ইনিংস ঘোষণা করার পর চট্টগ্রাম ৪ ওভারে বিনা উইকেটে ৩৫ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ছেড়ে দেয়। শেষ পর্যন্ত, বরিশালের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩৫ রান। তারা ৯ ওভারে ১৯ রান তুলে ড্র মেনে নেয়।
কক্সবাজার একাডেমি গ্রাউন্ডে তৃতীয় দিনে বৃষ্টির কারণে কোনো বলই গড়ায়নি। শেষ দিনেও কিছু বাধা ছিল, তবে রংপুরের বিপক্ষে ময়মনসিংহ ভাল সুযোগ পায়। প্রথম ইনিংসে রংপুর ১২৭ রানে অলআউট হয়ে ফলো-অন ড্রয় হয়ে যায়।
দ্বিতীয় ইনিংসে রংপুর যথেষ্ট দৃঢ়ভাবে ব্যাট করতে থাকে। ৩৩ ওভারে ২ উইকেটে ১১২ রান করে ম্যাচটি ড্র মেনে নেয়। রংপুরের ওপেনার আবদুল্লাহ আল মামুন অপরাজিত ছিলেন ৬৯ রানে।
