আবারও দলের বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়ালেন ডেভিড মিলার। আবারও দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করলেন। কিন্তু ফলাফল? সেই একই! দক্ষিণ আফ্রিকার ‘চোকার্স’ তকমা মুছল না, আর মিলার হয়ে গেলেন ট্র্যাজিক হিরো।
নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ৩৬৩ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫০ রান আগেই থেমে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। অথচ ডেভিড মিলার ঝড় তুলেছিলেন ৬৭ বলে ১০০ রানের ইনিংস খেলে। তবুও হার এড়াতে পারলেন না। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও সেঞ্চুরি করেছিলেন মিলার, কিন্তু সেবারও একই ভাগ্যবরণ করতে হয় তাকে।
এতেই ক্রিকেট ইতিহাসের এক অনাকাঙ্ক্ষিত বিশ্বরেকর্ড গড়ে ফেলেছেন মিলার। আইসিসির ওয়ানডে নকআউট ম্যাচে দুবার সেঞ্চুরি করেছেন তিনি—আর দুইবারেই হেরেছে তার দল! এমন হতভাগ্য রেকর্ড আর কারও নেই।
তবে দুর্ভাগ্যের দিক থেকে মিলার একা নন, পাশে পাচ্ছেন শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি সনাৎ জয়সুরিয়াকে। আইসিসি ইভেন্টের নকআউট পর্বে তিনবার দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর করেছিলেন জয়সুরিয়া, কিন্তু তার দল হেরেছিল। মিলারও একই ভাগ্য বরণ করেছেন।
তবে এই হতাশার মাঝেও দারুণ এক রেকর্ড গড়েছেন মিলার। আইসিসির নকআউট ম্যাচে অন্তত ৩০০ রান করা ব্যাটারদের মধ্যে তার ব্যাটিং গড় সবচেয়ে বেশি—১৫৩! এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন পাকিস্তানের সাঈদ আনোয়ার (১২৮.৩৩)। এর বাইরে আর কারও গড় ১০০-ও ছুঁতে পারেনি।
এছাড়াও, ৬৭ বলে সেঞ্চুরি করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে দ্রুততম শতকের মালিকও হয়েছেন মিলার। এই তালিকায় তিনি পেছনে ফেলেছেন ইংল্যান্ডের জশ ইংলিশ (৭৭ বলে সেঞ্চুরি, ২০২৫) ও ভারতের বীরেন্দ্র শেবাগকে (২০০২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি)।
কিন্তু দিন শেষে, সব রেকর্ড ছাপিয়ে যায় হতাশা। দুর্ভাগ্যের এমন নজির সত্যিই আর কারও নেই!
আরও দেখুন: